পবিত্র রমজানে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে আসায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়াতে স্বস্তি ফিরেছে। তবে ভোগান্তি রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের। এরুটে ফেরির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার কারণে এই ভোগান্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। এ নৌরুটে এক সময় ১৯টি ফেরি চলাচল করে আসছিলো। বর্তমানে ফেরির সংখ্যা কমে এসেছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। বর্তমানে বাসযাত্রীদের তেমন ভোগান্তি না থাকলেও ভোগান্তি রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের।
আজ মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এরুটে ফেরিপারের অপেক্ষায় নেই কোন যাত্রীবাহী বাস। অন্যদিকে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে নেই পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সারি। যাত্রীবাহী বাসগুলো সরাসরি ফেরিতে যেতে পারলেও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হয় ৭/৮ ঘণ্টা।
বাসচালক প্রদীপ রায় বলেন, সকালে মাগুরা থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। রোজার দিনে যাত্রীর চাপ কম। ফেরিঘাটে কোন সিরিয়াল পাইনি। সোজা ফেরিতে যেতে পারছি। দীর্ঘদিন পর স্বস্তি ফিরেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।
ট্রাক চালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে স্বস্তি ফিরেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। ফেরি কমিনে না দিলে ভোগান্তি থাকতো না। তিনি বলেন, ফেরির সংখ্যা কেন কমিয়ে দেওয়া হলো। ফেরি ১৮/১৯টি চলাচল করছে কোন সমস্যা হতো না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, যানবাহনের চাপ কমে আসার কারণে স্বস্তি ফিরেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। বর্তমানে এরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ