কোন ঘোষণা ছাড়াই রংপুর-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অলিখিত এই ধর্মঘটের দায় মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের কেউ নিচ্ছেন না। দুই পক্ষই বলছে আমরা বাস বন্ধ করিনি। ফলে ঢাকাগামী শত শত যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, নিত্য পণ্যের দাম আস্বাভাবিক বাড়লেও পরিবহন শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। একজন দিনমজুরের চেয়ে অনেক কম বেতন পাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এত অল্প টাকা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে পড়েছে। শ্রমিকরা বলেন, বেতনভাতা নিয়ে মালিক পক্ষকে একাধিকবার বলেও বেতন-ভাতা বাড়েনি। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছে।
চালকের এক সহকারি বলেন, কাউন্টার ম্যানেজার বলছে বাস চলাচল করবে না। তাই বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে যায়নি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবী জানিয়ে আসছি। দেশের অন্যান্যস্থানে পরিবহন শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে। কিন্তু রংপুর এক টাকাও বেতন বাড়েনি।
ঢাকাগামী যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় তার জরুরী কাজ রয়েছে। হঠাৎ কোচ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ বলেন, মটর শ্রমিক ইউনিয়ন কোন পরিবহন ধর্মঘট ডাকেনি। জেলা মটর মালিক শ্রমিকর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান রাঙ্গাই বাস চলাচল বন্ধ রাখতে বলেছেন। ফলে কিছু বাস ছাড়া অধিকাংশ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গামী বাস কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে যায়নি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেন, বাস বন্ধ রাখার বিষয়টি মালিক সমিতির নয়। কিছু বাস মালিক ও শ্রমিকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।
এদিকে অন্যান্য বাস না ছাড়লেও শাহ ফতেহ আলী, নাবিল, এনা পরিবহন রংপুর কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ