গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে ক্রেতা সেজে পাখি বিক্রিকালে একজনকে আটক করেছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এ সময় রিংনেক সবুজ টিয়া ও তোতা পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে রবিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও পাখি অবমুক্ত করা হয়।
আটককৃত হলেন বরিশালের বিমান বন্দর থানার রুপিয়াদী এলাকার চান মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান সুমন (২৫)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কারুলসুরিচালা এলাকার শহিদুল ইসলামের বাসায় ভাড়া থেকে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির ব্যবসা করে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে ক্রেতা সেজে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাখি বিক্রিকালে হাতেনাতে আটক করে আসছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরে বন্যপ্রাণী (অপরাধ) পরিদর্শক নার্গিস সুলতানার নেতৃত্বে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চালিয়ে উপজেলার কালামপুর দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে পাখি বিক্রিকালে হাতেনাতে সুমনকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ১২টি রিংনেক সবুজ টিয়া ও ২টি তোতা পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের পর আটককৃত সুমনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়। অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, কাচিঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম, জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট সাদেকুল ইসলাম ও সঞ্জয় বন্দসহ আরো অনেকে।
বন্যপ্রাণী (অপরাধ) পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, অনলাইনে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে পাখি বিক্রিকালে হাতে নাতে একজনকে আটক এবং ১৪টি পাখি উদ্ধার করেছি। পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়। তবে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল