হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামে ভাঙারির মালামাল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোশাহিদ মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত মোশাহিদ মিয়ার পিতা সবুর মিয়া ও ভাই মাজাম্মিল মিয়াসহ (১২) উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন জানান, দত্তপাড়া গ্রামের কাদির মিয়ার হবিগঞ্জ শহরের শ্মষানঘাট ভাঙারির দোকান আছে। এই দোকানে সবুর মিয়ার পক্ষের হাফিজুল মিয়া কর্মচারী হিসাবে কাজ করে। হাফিজুল মালিকের অগোচরে দোকান থেকে কিছু ভাঙারি মালামাল সড়িয়ে ফেলে। এই বিষয় নিয়ে সবুর মিয়া এবং দুলাল মিয়ার পক্ষে বিরোধ ও মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের জের ধরে রবিবার দুপুরে উভয়পক্ষ দত্তপুর বেরীবাধে এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে পৌনে ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোশাহিদ মিয়া নিহত হয়। গুরুতর আহত মোশাহিদের ভাই মোজাম্মিল মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
তিনি আরও জানান, নিহদের মরদেহ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল