নাটোরে বেগুন ছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করছে। গত এক সপ্তাহে দাম কমতে থাকায় কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে চান খুচরা বাজারের ক্রেতারা। যদিও এতদিন দাম বাড়ন্ত থাকায় সন্তুষ্ট ছিলেন কৃষকরা। শীতকালীন সবজির পর গ্রীষ্মকালীন সবজিতেও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।
সেহরির পর থেকে নাটোর শহরের বৃহত্তম সবজির পাইকারি বাজার স্টেশন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে। বাজারটিতে বেগুনের দাম চড়া থাকলেও কমতে শুরু করেছে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, করলা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের সবজির দাম।
আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) বাজারে বেগুন কেজিপ্রতি ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৪০-৪২ টাকা, করলা ৩৫-৪০ টাকা, শজনে ডাটা ৩৫-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮-১০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ২০-২২ টাকা, পেঁপে ১২-১৫ টাকায় বিক্রি হয়।
রোজার শুরুতে চড়া দাম থাকলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে ক্রেতারা বলছেন, বর্তমান দামে মধ্যবিত্তদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও নিম্ন আয়ের মানুষের দাবি দাম আরও নিয়ন্ত্রণে আসতে হবে।
তবে কৃষকরা জানান, উৎপাদন খরচ বাড়লেও বর্তমান দামে তাদের লোকসান হচ্ছে না। অন্য বছরগুলো লোকসান গুনলেও এবার লাভবান হচ্ছেন তারা। লাভের ধারা অব্যাহত রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করেন তারা। আর আড়তদাররা দাবি করছেন, গত সপ্তাহের শেষের দিক থেকে সবজির সরবরাহ বাড়ছে। এতে দামও কমছে।
চলতি বছর জেলায় ৫ হাজার ৭১৩ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন সবজির উৎপাদনের আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ
বিডি প্রতিদিন/হিমেল