ভেজাল খাদ্য বিক্রির অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি হোটেল মালিককে ৬ লাখ টাকা জরিমানা ও দুইজনকে আটক করেছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের গাওসিয়া ও রোজ হোটেলে অভিযান পরিচালনার সময় এ জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে আটক ও জরিমানার প্রতিবাদে ওই দিন রাতেই জেলার সকল হোটেল ও রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে হোটেল মালিক ও শ্রমিক সমিতি। জেলা শহরের সকল বেকারিগুলোতে শ্রমিক না থাকায় বেকারিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকরা।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের নেতৃত্বে 'সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম' জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ও মো. আলাউদ্দীনকে সাথে নিয়ে 'নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩' এর অধীন 'বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত' পরিচালনা করেন।
জানা যায়, বাশি, পচা, দুর্গন্ধ খাবার রাখার অভিযোগে শহরের চৌরাস্তার হোটেল গাওসিয়া ও হোটেল রোজ এর ম্যানেজারদ্বয়ের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড আরোপ করা হয়। দুইটি হোটেলে ৩ লক্ষ করে ৬ লক্ষটাকা জরিমানা করে। এই সময় রোজ হোটেলের ম্যানেজার রুবেল হোসেন ও গাওসিয়া হোটেলের ম্যানেজারকে আটক করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই হোটেলের অর্ধশত হোটেল শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ও চৌরাস্তা ট্রাফিক মোড়ে ইফতারি খাবার ফেলে প্রতিবাদ শুরু করেন শ্রমিকেরা। সে সময় শ্রমিক হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে আটক শ্রমিকের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি ঘোষণা করে দুই হোটের শ্রমিকরা।
এদিকে জেলা শহরের হোটেল ও বেকারির দোকানগুলো বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও কর্মচারীদের রাতের সেহেরী জন্য ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। এছাড়াও শিশু খাদ্যের জন্য অভিভাবকরা দুচিন্তায় পড়ছেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার জানান, নষ্ট, বাশি খাবার রাখার অভিযোগে দুই হোটেলকে তিন লাখ করে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 'বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত' নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল