রাজবাড়ীর পাংশায় চাঁদাবাজি ও সরকারি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে পাংশার শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম ও উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত আহবায়ক ফজলুল হক ফরহাদকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার রাজবাড়ী আমলী আদালত-২ এর বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে পাংশা পৌরসভার আইডিয়াল হাইস্কুল মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাজুল ইসলাম পাংশা উপজেলার কুড়াপাড়া গ্রামের রফিক খালাসীর ছেলে ও পাংশা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ফরহাদ পাংশা পৌরসভা এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
পাংশা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাস বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টাসহ সরকারি অফিস ভাঙচুরের মামলার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ভাইস চেয়ারম্যান জেলা পরিষদের জমি লীজ নিয়ে দোকানঘর নির্মাণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। সে সময় আসামীগণ তাদের নিকট দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। জালাল দাবিকৃত টাকার ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা পরিশোধ না করায় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন এবং সরকারি অফিস ভাঙ্চুর করেন।
তাইজুল ৯টি আগ্নেয়াস্ত্রের পৃথক তিনটি অস্ত্রসহ তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাসী তাইজুল গত বছর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে ব্যাপক আলোচনায় আসে।
মামলা প্রসঙ্গে তাজুল বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন জেলা পরিষদের জমির পাশে জোর করে আরও কিছু জমি দখলের চেষ্টা করেন। আমি পাংশা পৌরসভার কাউন্সিলর হিসাবে বাধা প্রদান করাতেই তিনি আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেন। যুবলীগ নেতা বলেন, আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদাবাজি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ