দুটি ইউনিয়নের মাঝের তিন কিলোমিটার রাস্তায় ইছামতি নদীর উপর ২টি বাঁশের সাঁকোই ভরসা শত শত মানুষের। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের আলোকডিহি ও সাতনালা ইউপির মাঝে এই বাশেঁর সাঁকো দুটি অবস্থিত।
চিরিরবন্দরের আলোকডিহি ইউপির তারকাশাহার হাট থেকে সাতনালা ইউপির গুচ্ছগ্রাম যেতে এই তিন কিলোমিটার রাস্তায় দুটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিত্যদিন। উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগে বাজার মূল্য না পাওয়ায় এলাকার কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে রোগীসহ পণ্য পরিবহনে বিকল্প পথে ৪/৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়।
কৃষ্টহরি বাজার ঈদগাহ মাঠের পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে শত শত শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের মানুষ পারাপার হয়। এই বাশেঁর সাঁকোর পাশেই কৃষ্টহরি বাজার প্রতিদিন বসে। এখানে দক্ষিণ আলোকডিহি উচ্চ বিদ্যালয়, এতিমখানাসহ বিভিন্ন মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ কেনাবেচার জন্য এই হাটে আসে। স্বাধীনতার ৫০ বছর হলেও এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কাটেনি। হাটের দিন বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকসহ বিভিন্ন কেনাবেচা করা মানুষের।
আলোকডিহি ইউপির কৃষ্ঠহরি বাজার এলাকার আব্দুর রউফ, রফিকুলসহ অনেকে জানান, এখানে ইছামতি নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে আশপাশের বসবাসরত সর্বসাধারণের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাবে। শক্তিশালী হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই