সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অলিপুর-সড়াতৈলের মাত্র ৫০০ মিটার কাঁচা রাস্তার কারণে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা ও পানি জমে সড়কটি একে বারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় এক বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে রাস্তার প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ পাকা করা হলেও সড়াতৈল মাদ্রাসা মোড় থেকে তালুকদার বাড়ি সেতু পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতে কাদা জমে ছোট যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও পার হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও নারী-পুরুষদের ভোগান্তি পোহাতে হয় সবচেয়ে বেশি।
সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার জানান, উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের অলিপুর-সড়াতৈল সড়কটি হাটিকুমরুল উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। সড়কটি দিয়ে বড়হর ইউনিয়নের বাগদা, চরবাগদা, রশিদপুর, অলিপুর, বোয়ালিয়া, বড়হর, পাগলা বোয়ালিয়া ও গুয়াগাঁতি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন হাটিকুমরুল মহাসড়কে যাতায়াত করেন। এই রাস্তা দিয়েই শিক্ষার্থীরা সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, সড়াতৈল মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্থানীয় বাজারে চলাচল করেন। বর্ষার সময় কাদা জমে ছেলে-মেয়েরা পড়ে গিয়ে স্কুল পোশাক নষ্ট করে ফেলে। অনেকে স্কুলে যেতেই পারে না।
স্কুল ছাত্র সুমন ও মারিয়াসহ অনেকে জানান, টানা বৃষ্টি হলে রাস্তার ওই অংশে হাঁটু সমান কাদা জমে যায়। এতে আমাদের চলাচলে চরম কষ্ট হয়। অনেক সময় বই খাতা-পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। বিকল্প পথ দিয়ে অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর।
উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল্লাহ জানান, অলিপুর-সড়াতৈল সড়কটি বড়হর ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের এক মাত্র যাতায়াতের পথ। মোট দুই কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে দেড় কিলোমিটার অংশ ইতোমধ্যে পাকা করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫০০ মিটার কাচা অংশ পাকা করার জন্য প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। নতুন বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই