বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি পাকা রাস্তা ও কাঠের ব্রিজ কয়েক বছর ধরে বেহাল রয়েছে। খালে ভেঙে পড়েছে ৯ ফুট চওড়া রাস্তা ও ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের ব্রিজ। ফলে হোগলাপাশা ও বনগ্রাম ইউনিয়নের সাত গ্রামের শতশত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ২০ বছরেও ওই গ্রামের রাস্তাঘাটে উন্নয়নের কোনো ছোয়া লাগেনি।
জানা গেছে, বড় হরিপুর গ্রামের শৌলখালি বাজার হয়ে ফকিরহাট পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা গত ২০ বছর ধরে কোনো প্রকার রক্ষণাবেক্ষণ না করায় রাস্তার অধিকাংশ হোগলাপাশা খালে বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তাটি খালে ভেঙে যাওয়ায় বড়হরিপুর, ছোটহরিপুর, জয়পুর, হোগলাপাশা, গোবিন্দপুর, কালিয়ামেঘা ও মহিষপুরা গ্রামের শতশত মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন।
শিক্ষার্থী অর্ঘ ডাকুয়া, পাপিয়া শীল, হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজন কুমার বাছাড়, সুভাস শীল, সংকর কুমার শীল বলেন, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শীল বাড়ির সামনের স্লিপার ব্রিজটিও ধসে পড়েছে খালে। বর্ষা মৌসুমে চলাচলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ২-৩ ঘণ্টায় চিকিৎসায় নেওয়ারও সুযোগ থাকে না।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি নির্বাচিত হয়েছি মাত্র কয়েক মাস। ইতিপূর্বে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা ওই রাস্তাটিতে বরাদ্দ দিয়েছেন কিনা তা জানা নেই। তবে জনদুর্ভোগ লাঘবে বরাদ্দ পেলেই রাস্তা ও ব্রিজ সংস্কার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই