নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আবার জেগে ওঠা নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নে প্রথম বারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ জুন।
নানা সমস্যায় জর্জরিত এ দুই ইউনিয়নের দেড় লাখ মানুষ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। দলীয় ভাবে বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বহিরাগত সন্ত্রাস বাহিনীমুক্ত নির্বাচন চান ভোটার ও প্রার্থীরা।
অনেকে সহিংসতার শঙ্কা করলেও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
এ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে ইতোমধ্যে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে কাপনের কাপড় ও বিষের বোতল নিয়ে ৩৩ জন চেয়ারম্যান, মেম্বার প্রার্থীর অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘটনা ব্যাপক আলোচনা সলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে ভোটের পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। তবে, শেষ ধাপের এ নির্বাচনকে যেকোন মূল্যে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
হাতিয়ার চানন্দী ও হরণী ইউনিয়নে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯২ সালে। এরপর ইউনিয়ন দুটি মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে আবার জেগে উঠে। ২০০৫ সাল থেকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে ইউনিয়ন দুটিতে দৈনন্দিত কার্যক্রম পরিচালা করা হচ্ছিল।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত ছিল এখানকার মানুষ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মকাণ্ডে ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যপারে জেলা পুলিশ সুপার মো: শহীদুল ইসলাম জানান, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা।
দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল