গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাথালিয়া মজিদচালা উচ্চ বিদ্যালয়ে বড় পরিসরে বিদায় অনুষ্ঠানের কথা বলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ জানালে বিদায়ী এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ওই ছাত্রীর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার জাথালিয়া মজিদচালা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই বিদ্যালয়ের ৫১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০৫ জন এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থী। বড় পরিসরে বিদায় অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই ১০৫ জন বিদায়ী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাকি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের বিষয়টি জানানো হয়নি। গত বুধবার সকালে ওই পরিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন শুধু মেঝেতে কাপড় বিছিয়েয়া বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিলাদের জন্য মাত্র ৬ কেজি জিলাপি কিনেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় ওই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে তোলা প্রায় ৬০ হাজার টাকা কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? এসব জানতে চাইলেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান ক্ষিপ্ত হন। পরে তিনি ওই শিক্ষার্থীকে অফিস কক্ষের সামনে ডেকে নিয়ে তার মুখ, নাখ, চোখ ও গায়ে এলোপাথারী চর-থাপ্পর মারে বলে অভিযোগ। পরে পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেন। শুক্রবার বিকেলেও ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান জানান, তারা কয়েকজন ছাত্রী গেঞ্জি পড়ে ও সাউন্ড বক্স নিয়ে মিলাদ মাহফিলে আসে। এসময় বাসায় যেতে বললে বাকিরা চলে গেলেও ওই ছাত্রী যায়নি। উল্টো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে তাকে একটা থাপ্পর দেই।
উপজেলা নিবার্হী কমকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল