পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার মামলায় একজনকে গ্রেফতারের ঘটনায় মহিপুর থানাভবন ঘেরাও করে কয়েকশ’ লোক। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠি চার্জের ঘটনাও ঘটেছে।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে পুলিশের ৮ সদস্যসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুতর আহত এসআই আব্দুল হালিম (৪৭) ও কনস্টেবল আফজাল হোসেন কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল জলিল ঘরামীর ছোট ভাই মো.খলিল ঘরামীর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়ী প্রার্থী আবুল হোসেন কাজী’র সমর্থক কবির মোল্লাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে কবির বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় কবির মোল্লার স্ত্রী শিউলী বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে খলিল ঘরামীকে প্রধান আসামি করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রধান আসামি খলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করে। তাকে মুক্ত করতে তিন শতাধিক নারী পুরুষ থানাভবন ঘেরাও করে।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, ‘আসামি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য জলিল ঘরামী নেতৃত্বে তিন শতাধিক জনতা থানার সামনে জড়ো হয়। তাদেরকে বারবার সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এতে তারা কর্ণপাত করেনি। পরে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় এস আই হালিম হওরাদার, কনস্টেবল আফজাল, ওবাদুল,মিলন, নারী পুলিশ নাসরিন, শিলা রানি, লিজা ও নাহার আহত হয়। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে জলিল ঘরামী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
হামলাকারীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত জলিল ঘরামীর পক্ষের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল