আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের নামে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সমাজসেবক বিষয়ক সম্পাদক খাজা আল আমিন সোহাগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের পূর্ব বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলমগীর জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খাজা আল আমিন সোহাগ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলমের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত খাজা আল আমিন সোহাগ তার ফেসবুক একাউন্টে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক ব্যক্তির নামে অশালীন, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য লেখে তা প্রচার করে আসছিলেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার মান ক্ষুণ্ণ হয়।
জয়পুরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেওয়ান ইকবাল হোসেন সাবুর নামে ফেসবুকে গুজব ছড়ায়। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিকালে প্যানেল মেয়র দেওয়ান ইকবাল হোসেন সাবু বাদী হয়ে জয়পুরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটির আবেদন আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্ত-পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
ওসি আলমগীর জাহান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সমাজসেবক বিষয়ক সম্পাদক খাজা আল আমিন সোহাগকে গ্রেফতারের পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর