মাকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলায় বন্ধুকে খুন করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ফরিদপুরের ব্যবসায়ী শরীফ শেখ হত্যা মামলার আসামি শরীফ বকাউল (২৬)। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শরীফ বকাউলকে নিয়ে বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। গত শনিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গাবীর বিলের কাছের একটি বাগানে তাস খেলার কথা বলে সেখানে নিয়ে শরীফ শেখকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শরীফ বকাউল বলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের কাচামাল ব্যবসায়ী শরীফ শেখের সাথে তার ভালো বন্ধুত্ব ছিল। তারা বিভিন্ন সময় একসাথে জুয়া খেলতো। জুয়া খেলতে গিয়ে সে শরীফ শেখের কাছ থেকে টাকা হাওলাত নিতো। দীর্ঘদিন ধরে টাকা হাওলাত নেওয়ায় শরীফ বকাউল তার কাছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা ঋনী হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময় বেশ কিছু টাকা ফেরতও দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন আগে বন্ধু শরীফ শেখ তার কাছে পাওনা টাকার জন্য বেশ ঝামেলা করে। একপর্যায়ে শরীফ শেখ তার মাকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলে। এতে জিদ চেপে যায় তার। শরীফকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ব্যবসায়ী শরীফ শেখের সাথে শরীফ বকাউলের বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিল। পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শরীফ শেখ ঘাতক শরীফ বকাউলের মাকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলে। এর জের হিসাবেই শরীফ শেখকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়। পরে আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক দা, রক্তমাখা জামা কাপড় কুমার নদীর পানিতে কচুরীপনা ও কাদার মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ