উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় মহাসড়কের নবনির্মিত নলকা সেতুর পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেতুর ঢাকামুখী লেনটি খুলে দেয়া হয়। সময় সাকেস-২ ডব্লউ ও-৬ মীর আকতার লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার মো. এখলাস উদ্দিন, ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার শের শাহ, হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান প্রমুখ।
নব নির্মিত নলকা সেতু ঢাকাগামী লেন খুলে দেওয়ায় এবার ঈদে যানজটবিহীন নির্বিঘ্নে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার মানুষ ঈদে ঘরে ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করছেন হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার যানজটের মূল কারণ ছিল ঝুঁকিপূর্ণ নলকা সেতু, রাস্তার খানাখন্দ ও ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেক। তিনটি কারণে প্রতিবছর ঈদে উত্তরবঙ্গের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। গত রোজার ঈদের ঝুঁকিপূর্ণ নলকা সেতুর পাশে নতুন ফোরলেন সেতু নির্মাণ করা হলেও প্রশাসনের চাপে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাত্র একলেন খুলে দেয়া হয়েছিল। এ কারণে যানজট একটু কম ছিল। এ বছর সেতুর দুটি লেনই খুলে দেয়া হয়েছে। একই সাথে মহাসড়কের খানাখন্দ সংস্কার করা হয়েছে।
ঢাকাগামী ট্রাক চালক আব্দুর রহিম ও বাস চালক ফরিদ আহম্মেদ জানান, নবনির্মিত নলকা সেতুটি পুরোপুরি ভাবে খুলে দেওয়ায় কী পরিমাণ যে উপকার হলো তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আগে যে সেতুটি পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কবলে পড়ে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো, এখন সহজেই সেতুটি পার হতে পারবো। এতে আমাদের এবং যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আকতার লিমিটেড-এর প্রকল্প ম্যানেজার এখলাস উদ্দীন জানান, গত তিন বছর যাবত ঢাকা-রংপুর মহাসড়কটি ফোরলেন উন্নতীকরণের কাজ চলছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ আমরা বাস্তবায়ন করছি। কাজ শেষ না হলেও ঈদে ঘরমুখো মানুষের কথা চিন্তা করে দিন-রাত পরিশ্রম করে নলকা সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে আজকে পুরোপুরি ভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৯ কিলোমিটারে খানাখন্দও সংস্কার করা হয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, নলকা সেতুর পুরোপুরি খুলে দেওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল মহাসড়কের খানাখন্দ সংস্কার করায় যানজট হবে না বলে মনে করছি। এছাড়াও চালকরা যেন ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেক না করে এবং তারা যেন লেন মেনে গাড়ি চালায় সেজন্য মহাসড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন সহ টহল পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে-সঙ্গে হতাহতদের হসপিটালে নেওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স এবং মহাসড়ক সচল রাখতে গাড়ি অপসারণের জন্য রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর