ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভয়াবহ নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও দড়ি লাপাং গ্রামে ৩০টি বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে চিত্রি গ্রামের কয়েকটি পরিবার। অনেকে এক কাপড় নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে কোনো রকমে জীবন পার করছেন।
নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে এলাকা ত্যাগ করছেন। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে উপজেলার মানচিত্র পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা আমরা পরিদর্শন করে এসেছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে, যাদের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে তাদেরকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ভাঙন রোধে এমপি মহোদয় একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল