প্রায় ৮ কোটি টাকা পাওনা থাকায় চামড়া ব্যবসায় ধ্বসের আশংকা করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় চামড়া শিল্পকে বাচাতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দিনাজপুর চামড়া মালিক গ্রুপ।
গত বছরে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের বৈঠক, এফবিসিসিআইর আশ্বাস আর ট্যানারী মালিকদের প্রতিশ্রুতি কোনটাই কাজে আসেনি। এখন পর্যন্ত পাওনা টাকা না পাওয়ায় এবারের কোরবানির ঈদে চামড়া ব্যবসা নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন দিনাজপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা। ৫ বছরে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। বকেয়া টাকার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন ঢাকা ট্যানারী মালিকদের কাছে। টাকা না পেলে স্বল্প সময়ের মধ্যে চামড়া সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার দিনাজপুর শহরের রামনগর চামড়া মার্কেট। এখানে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসেন খুচরা ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। কোরবানির সময়ে প্রায় লক্ষাধিক চামড়া আমদানি হয় এখানে। তারপরেও ঢাকার ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে লেনদেন চলে মৌখিক ও বাকিতে। দক্ষ শ্রমিক ও লবন সংকট। গত বছরের টাকা না পাওয়ায় চামড়া কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখনও পাওনা টাকা না পাওয়ায় চামড়া কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে ছোট বড় মিলে রয়েছে শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ী।
কাঁচা চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু ব্যবসায়ী সমিতির কাছ থেকে এখনও কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও। প্রতি বছর জেলায় ৭৫ হাজার গরু, ২৫ হাজার ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করা হয়।
দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপ এর সভাপতি জুলফিকার আলী স্বপন জানায়, দিনাজপুরে চামড়ার বাজারে ধ্বস নামার আশংকা রয়েছে। জেলার ৩৫ জন চামড়া ব্যবসায়ীর পাওনা টাকা আটকা পড়ে আছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ