বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঈদের জামাতে দাঁড়ানো অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন ফারুক আহমেদ নামে এক কৃষক। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আজ রবিবার ঈদুল আজহার দিন সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত ফারুক বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকরি পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আব্দুর রশিদ।
ফারুক এর আগে ধুনটের বেড়েরবাড়ি বুড়িরভিটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে বেড়েরবাড়ির পাশের গ্রাম শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকরি পশ্চিমপাড়া গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। আহত ফারুক জানান, ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য সকালে বেড়েরবাড়ি গ্রামের মাঠে যান তিনি। খুতবা শেষে দাঁড়িয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ সময় পেছন থেকে তার ওপর হামলা চালানো হয়। প্রথমে তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে তিনি উঠে দাঁড়ালে তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়। তখনই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ফারুক আরও জানান, বেড়েরবাড়ির বুড়িরভিটা গ্রামে তাদের তিন শতক জায়গা আছে। ওই জায়গা বিক্রি করবেন না তারা। কিন্তু জোর করেই জায়গাটি কিনে নিতে চান আব্দুল খালেকসহ তার ছেলেরা। এ নিয়ে প্রায় বছর দু’য়েক ধরেই তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন তারা। এর আগে, তার ভাই হানযালা মাছুমকেও মারধর করেন আব্দুল খালেকসহ তার ছেলেরা।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মারধরের ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর