বগুড়ায় ঈদ উল আজহার দিন দুপুরের পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি মাংসের দোকান বসেছিল। রাত ১১টা পর্যন্ত চলে বেচা কেনা। এ দোকানগুলোতে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে মাংস কেনা হয়েছে এবং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। রবিবার বিকেলে শহরের রেলস্টেশন, হাড্ডিপট্টি, ১নং, ২নং ও ৩নং রেল এলাকা, কাঁঠালতলা, থানা মোড়, চেলোপাড়া, বিআরটিসি মার্কেট এলাকায় এ দোকানগুলো বসে। প্রায় একশ জনের অধিক দোকানদারকে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এসব দোকানে মাংসের কেনাবেচা করতে দেখা যায়। অপেশাদার মাংস ব্যবসায়ীরা এসব দোকানে মাংস কেনাবেচা করছেন। এসব দোকানে মৌসুমি কসাই, দিনমজুর, দুস্থ্, ভিখারি-গরিব, শিশুসহ যারা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মাংস সংগ্রহ করতে পেরেছেন তারাই নিয়ে এসে বিক্রি করছেন।
মাংস বিক্রেতারা জানান, তারা তিনজন মিলে প্রায় ৩০ কেজি মাংস পেয়েছেন। এত মাংস বাড়ি নিয়ে গিলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তারা এই টাকায় কিছুটা ঋণ পরিশোধ করবেন বলে জানান।
এসব মাংসের দোকানের বেশিরভাগ ক্রেতা হলেন শহরের বিভিন্ন এলাকার খাবারের দোকানের মালিকরা। শহরের থানা মোড় এলাকায় নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল মালিক জানান, ৪০ কেজি মাংস কিনেছেন ৬৫০ টাকা কেজি দরে। এসব মাংসের স্বাদ অনেক বেশি হয়। সেই সাথে বাজারের তুলনায় প্রতি কেজি মাংসে ১০০ টাকা কম পেয়েছেন। এই হোটেল মালিক ছাড়াও শহরে বসবাসকারী নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা রিকশাওয়ালা, টং-দোকানি, খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ ও যারা কম আয়ে শহরে বাস করেন বা গ্রাম থেকে জীবিকার তাগিদে শহরে আসেন তারাও এসব দোকানের প্রধান ক্রেতা।
মাংসের দোকানদার মনির, শামিম, সানোয়ার জানান, এ সময়টাতে কিছুটা সস্তায় মাংস কেনা যায়। প্রতি কেজি ৫০০ টাকা থেকে ৬শ টাকা কেনা হয়। এবং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। নগদে লেনদেন হয় তাই লাভটাও ভাল হয়।
মাংস কিনতে আসা রিকশাচালক মিনাজুল আলম জানান, সোনাতলায় তার গ্রামের বাড়ি। কোরবানি করার সামর্থ্য নেই। তাই ঈদের দিনে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া পেয়েছেন রিকশা চালিয়ে। তা থেকে ১৮০০ টাকা দিয়ে ৩ কেজি মাংস কিনেছেন পরিবারের জন্য।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা