কক্সবাজারের আলোচিত ইমন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ খানকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আব্দুল্লাহ খান স্বীকার করেছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২ থেকে ৫ জনের একটি দল কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ছাত্রলীগ নেতা ইমনকে হত্যা করা হয়। এতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ মিনিট।
রবিবার টেকনাফ উপজেলার কচুবনিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ খান কক্সবাজার শহরের পেশকারপাড়া খাইরুল আহমদের ছেলে। এসময় নিহত ইমনের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
রবিবার বিকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ এতথ্য জানান।
পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ জানান, হত্যাকান্ডের পরবর্তী সময়ে র্যাবের একটি গ্রেপ্তার অভিযানে নামেন। এক পর্যায়ে কক্সবাজারের টেকনাফ কচুবনিয়া এলাকা থেকে আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। সে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে। সে জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরে ভিকটিম ইমন হাসান মাওলার পিতার একটি দোকান রয়েছে। গত কয়েক মাস আগে সেই দোকানে ইমনের পিতার সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের বাগবিতন্ডা হয়েছিল। এই বাগবিতন্ডার জের ধরে ভিকটিম ইমন ও তার সহযোগীদের সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই মারামারির ঘটনার প্রেক্ষিতে আব্দুল্লাহ খানের পরিবার ইমন ও তার সহযোগীদের নামে মামলা করে। মারামারির ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আব্দুল্লাহ খান সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ জুলাই রাতে হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
বিডি প্রতিদিন/এএম