নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। গতকাল শুক্রবার নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সাঘাটা উপজেলা চত্বর বোনারপাড়ায় অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। একই দিনে বিকাল ৪টায় সদ্য প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির মৃত্যুতে শূন্য হয় এই সংসদীয় আসনটি। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে এই আসনটিতে উপ-নিবার্চন হবে।
আল মামুন বলেন, ‘মনোনয়ন প্রাপ্তির ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আমি প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম। একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে সবসময় আপোষহীন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রাজনীতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। সাঘাটা-ফুলছড়ির স্থানীয় রাজনীতিতেও নেতাকর্মীদেরকে সময় দিয়েছি। বিভিন্ন সংকটকালীন সময় যেমন বন্যা ও শীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলে সাঘাটা-ফুলছড়ির সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করবো’।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনকে স্থায়ীভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থাকরণ, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নদী কেন্দ্রীক পর্যটন কেন্দ্র তৈরি, বালাসী-বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণ, শিল্প-কলকারখানা, হাইটেক পার্ক, আইসিটি সেন্টার ও তৈরি পোশাক কারখানা স্থাপন করে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। রাজধানীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ, দ্রুত গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থাকরণ, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণের চেষ্টা করবো। চর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি চরাঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষকদের ভাগ্যেন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরী করে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। সদ্য প্রয়াত মাননীয় ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে সাঘাটা-ফুলছড়িকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ উপজেলাতে রূপান্তর করা হবে’।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা