ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গত ৪ অক্টোবর (শনিবার) সিডনিতে অনুষ্ঠিত হলো এক প্রাণবন্ত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষের পক্ষ থেকে নাজমুল জাসিম সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুলতানা নাসরিন ও সালেহ। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনায় ছিলেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক ও বর্তমান নিউ ক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সেলিম মমতাজ।
অনুষ্ঠান ১৯৭০ সালে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তি হওয়া খুরশিদ আবেদীন বলেন, এই মিলন মেলায় সব শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। উপস্থিত ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষিকা হাফিজা খাতুন ও নাসরিন খান।
মিলন মেলায় উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রবাসে থেকেও আমরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই, যেন সেই বন্ধন অটুট থাকে। মত বিনিয়ম করেন ভবিষ্যতে কিভাবে বিভাগের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়, নতুনদের কিভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়। পাশাপাশি ছিল ক্যাম্পাসের স্মৃতিচারণ, গল্প, আড্ডা ও ছবি তোলা।
আয়োজনে ছিল ছোটদের জন্য বিশেষ উপহার, রাফেল ড্র, শহীদুল আলম বাদলের কবিতা আবৃত্তি ও বিভিন্ন শিল্পীদের গান। আতিকুর রহমানের সম্পাদনায় উপস্থিত সবাইকে ছবি সহ বিশেষ ম্যাগাজিন উপহার দেওয়া হয়।
অ্যালামনাই আড্ডায় আরও যোগ দিয়েছিলেন ঢাবি অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কামরুল মান্নান আকাশ ও সাধারন সম্পাদক লিংকন শফিকউল্লাহ।
আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে এমন পুনর্মিলনী আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে যাতে প্রবাসে থাকা ঢাবি ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পারেন।
পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুস্বাদু খাবার যেখানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবারবর্গও অংশ নেন। প্রাণের বন্ধন ও স্মৃতিময় মুহূর্তে ভরা এই আয়োজনে সিডনির প্রবাসী ঢাবিয়ানদের মধ্যে ছিল আনন্দ ও আবেগের ছোঁয়া।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন