ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনায় ছাত্রলীগের এক কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত রুহিয়ার রামনাত এমপির মোড় হতে কর্ণফুলী মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের অভিযোগ বিএনপির গুলিতেই সোহেল নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি রাজাগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, সারাদেশে বিএনপি এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগ একটি বিক্ষোভের আয়োজন করে। এই দিনে বিকালে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে রুহিয়া থানা বিএনপি। দুপুরে হঠাৎ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক আব্দুল লতিফ লিটুকে মারপিট করে ও তার মোটরসাইকেল ভাংচুর করেন বিএনপির কর্মীরা। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পরে বিকালে বিএনপির কর্মীরা রুহিয়া চৌরাস্তা মোড়ে তাদের সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এ সময় রুহিয়া চৌরাস্তার থেকে কর্ণফুলীর দিকে মিছিল নিয়ে যায় দুই দলের নেতাকর্মীরা, পরে আবারও দুই পক্ষের ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় গুলিতে আওয়ামী লীগের এক কর্মী আহত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ বিএনপির কর্মীরা তাদের উপর গুলি করেছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। দুপুরে হঠাৎ করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় তারা একজন সাংবাদিককে মারপিট করে। পরে আমাদের ছেলেরা এগিয়ে আসলে তারা আমাদের ছেলেদের মারপিট করে পালিয়ে যায়। তারা আমাদের ৪/৫ টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে সভাস্থলে আসার সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের মারপিট করে। তারা আমাদের সভামঞ্চে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের বিএনপির নেতাদের আহত করেছে। আমরা তাদের নয় তারা আমাদের মেরেছে। এখন তারা উল্টো আমাদের নামে মিথ্যাচার করছে। বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগের উপর গুলি করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কেন গুলি করবো, গুলি তো তারা করেছে, আপনারা খবর নেন আমাদের কতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার তানজিলা তাসনিল সুচি জানান, হঠাৎ করেই একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। তবে এ পর্যন্ত কোন দলেন কতজন আহত হয়েছেন, সেটি জানা যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর