ঢাকার ধামরাইয়ে ৪ ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লুট করে ডাকাতরা। এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাল সিএনজির পাশে তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে গ্রামের ভেতরের একটি রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতের দলটি। এসময় ব্যবসায়ীদের চিৎকারে গ্রামের লোকজন তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে এবং ডাকাতদের আটকের পর গণধোলাই দেয়।
পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের স্থানীয় সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ঢাকার মিরপুর থেকে মুরগি ব্যবসায়ী সোহাগ, রমজান আলী মিঠুসহ চার জন মুরগি কেনার জন্য টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর যাওয়ার জন্য একটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে রওনা হয়। তাদের গাড়িটি নবীনগর ক্যান্টমেন্ট এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতদলের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস যার নং ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-৪৫৪৭ ব্যবসায়ীদের গাড়ির গতিরোধ করে এবং নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর মহাসড়কের ধামরাইয়ের পাল সিএনজির পাশে ফাঁকা স্থানে নিয়ে অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি ও মারধর করে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
এসময় তারা চিৎকার করে ডাকাতদের ব্যবহৃত গাড়িটি জয়পুরা সোমভাগ সড়কে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে মাইক্রোবাসটি ধাওয়া দেয় এবং ধরে ফেলে। গাড়িতে থাকা ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলেও জনতা তাদের আটকিয়ে গণধোলাই দেয়। পরে অবস্থা বেগতিক হলে স্থানীয় সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ে আটকিয়ে রাখা হয় ডাকাতদের। এসময় বাহিরে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওয়াদ হোসেন ধামরাই থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডাকাতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।
ধামরাই থানার ওসি অপারেশন নির্মল চন্দ্র সাহা জানান, ডাকাতদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল