বরিশালে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও ৮টি নদীর ৯টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একমাত্র বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহমান অবস্থায় আরও কিছুটা বেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় কীর্তনখোলা নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে ২ সেন্টিমিটার কমে ২.৬৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। কীর্তনখোলা নদীর পানির বিপৎসীমা ২.৫৫ মিটার। রবিবার কীর্তনখোলার পানি ২.৭০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়।
ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেতুলিয়া নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে ৩.০০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। তেতুলিয়া নদীর পানির বিপৎসীমা ২.৯০ মিটার। দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিকেল ৪টায় ৪.০৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। দৌলতখান পয়েন্টে এই দুই নদীর পানির বিপৎসীমা ৩.৪১ মিটার। এই দুই নদীর পানি তজুমুদ্দিন পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিকেলে ৩.৭০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। দৌলতখান পয়েন্টে এই দুই নদীর পানির বিপৎসীমা ২.৮৩ মিটার।
বিষখালী নদীর পানি ঝালকাঠী পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় ২.৩৭ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। ঝালকাঠী পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপৎসীমা ২.০৮ মিটার।
বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমে ৩.১৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। গত রবিবার এই দুই নদীর পানি মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে প্রবাহিত হয়েছিলো বিপৎসীমার (২.৮১ মিটার) ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ৩.২০ মিটার উচ্চতায়।
বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টে পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বিষখালী নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার (২.৬৮ মিটার) ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার (২.৬৫ মিটার) ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী এবং নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, গভীর সমূদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এখন পানি ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম