যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা ও ফসলি জমি। রবিবার রাতে চৌহালী উপজেলার চরনাকালিয়া গ্রামে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুইটি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এতে তিনটি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও একই এলাকায় তিনটি স্থানে প্রায় ১০০ মিটার জিওব্যাগ ধসে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের। অন্যদিকে, শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নেও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিওব্যাগ ফেলেও কাজে আসছে না। জিওব্যাগসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। শীতকালীন সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
ভাঙনের শিকার চৌহালীর চরনাকালিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদ্য আব্দুস ছাত্তার জানান, নদীপাড় সংলগ্ন বসতভিটা ছিল। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হবে শুনে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়নি। পানি বাড়ায় রাতে হঠাৎ করে পুরো বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। একটি ঘর কোনোরকম বাঁচাতে সক্ষম হয়। তবে দুটি ঘরসহ মামলাল নদীতে চলে গেছে। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে দেওয়ানগঞ্জ বাজার, মিটুয়ানি হাইস্কুল, প্রাইমারিসহ অর্ধশত বসতভিটা ও রাস্তাঘাটসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার জানান, গত ১২ ঘণ্টা যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিওব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই