নরসিংদীর শিবপুরে নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর সায়মা জাহান (৮) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার যোশর ইউনিয়নের আখড়া মন্দিরের পাশের একটি ঘরের আলমারি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সায়মা। নিহত সায়মা জাহান উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার জাহানের মেয়ে। সে চর মরজাল মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু সায়মা জাহান। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ঘরে ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে খেলতে যাওয়া পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হানিফা মিয়ার শিশু সন্তানকে জিজ্ঞেস করলে সায়মা তাদের ঘরে আছে বলে জানায়। পরে ভাড়াটিয়া হানিফা মিয়ার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আলমারিতে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ভাড়াটিয়া হানিফা মিয়া ও তার স্ত্রী শেলী বেগমকে আটক করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শিবপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, সায়মা জাহানের কানে স্বর্ণের দুটো দুল ছিল। ওই দুল দুটো নিতে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফা ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ