সকাল ১১টায় পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া আকতারের এসএসসি বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা। কিন্তু হঠাৎ সকাল আটটায় মায়ের মৃত্যুর খবর পায় সুমাইয়া। এই খবরে সে জ্ঞান হারালে পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এগারটা থেকে তার এসএসসি পরীক্ষার খবর পেয়ে গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম। তার পাশে গিয়ে সাহস যোগানোর পাশাপাশি পরীক্ষা শুরুর মিনিট দুয়েক আগে নিজেই চালকের আসনে বসে কেন্দ্রে নিয়ে এসে যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। এ সময় সুমাইয়া হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় পরীক্ষা দেন।
পানছড়ির মেধাবী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ওসি সাহেবের মহানুভবতার কারণেই মেয়েটি আজ পরীক্ষা দিতে পেরেছে। পানছড়িবাসীর পক্ষ থেকে তিনি ওসিকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানানা।
পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম বলেন, এটা ছিল আমার দায়িত্ব। আমার নিজের মেয়ে মনে করে তাকে কেন্দ্রে নিয়ে সাহস যুগিয়েছি এবং দুজন পুলিশ সার্বক্ষণিক তার পাশে থাকার ব্যবস্থা করেছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল