শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের সতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক হুমায়ুন কবির রুমানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। আজ বিকাল ৪টা থেকে শুরু হওয়া শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের মিটিং শেষে রাত ৯টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুনের দাবি আওয়ামী লীগের মনোনীত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় দলীয় শঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন রুমান। গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ১১ ধারায় বলা হয়েছে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে যে নির্বাচন করবে তাকে জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করা ক্ষমতা রাখে। মামুন আরও বলেন ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির ৫০ জন ওই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। সর্বসম্মতিক্রমে এই বহিস্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হবে।
এদিকে এই বহিস্কার আদেশকে অগণতান্ত্রিক ও দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান কমিটির সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শামসুল নাহার কামাল ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল খালেক।এই নেতাদের দাবি দল অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে মনোনয়ন দেয়নি, সমর্থন দিয়েছে এবং দলীয় মার্কাও দেয়নি সুতরাং রুমান দলের মার্কার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন এটি ঠিক নয়।
তারা আরও বলেন, গঠনতন্ত্রের ৪৭(ঙ) ধারা মতে বহিষ্কারের এখতিয়ার রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির। অন্যকারো বহিষ্কার করার ক্ষমতা নেই। আমরা ওই মিটিং থেকে এই বহিস্কার আদেশের বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করেছি। এই গঠনতন্ত্র বিরোধী বহিষ্কার আদেশে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনেও রুমানকে এ ধরনের সভা ডেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নির্বাচনে রুমানই পাশ করেছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মার্কা রাখেনি। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে অবাধ প্রতিযোগিতার সুযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কেন্দ্রীয় নেতাদের স্মরাণাপন্ন হবেন বলে রুমানপন্থী এই নেতাদের দাবি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল