বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দেশে সংবিধান আছে এবং সেই সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে। আমরা সংবিধানের বাহিরে যেতে পারবো না। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন উপহার দিতে চাই। বিএনপিকে ভোটে নিয়ে আসার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়। তবে বিএনপির সাথে আমরা সংলাপ করেছি। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, যারা ইভিএম নিয়ে নানা সংশয়ের কথা বলেছেন তাদেরকে অনেকবার বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসে ইভিএমের ত্রুটি বের করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা অন্য কেউই এর কোনো সমস্যা বের করতে পারেনি। শুধু মুখে বললে হবে না, আমরা প্রমান চাই ইভিএমে কী কী ত্রুটি আছে। বগুড়া জেলা পরিষদের ভোটার সংখ্যা যেহেতু কম। যারা ভোটার তারা সকলেই জন প্রতিনিধি। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজন নেই বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) উপ-নির্বাচনে আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের চেষ্টা করবো। নির্বাচনটি যেন অবাধ-নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। কালো টাকায় ভোট বেচাকেনা হয় এটি আমাদের জানা নেই। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা এদেরকে চিহিৃত করতে পারবেন। ইভিএমএ জাল ভোট বা একই ব্যক্তির একাধিক ভোট দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ইভিএম নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। এ যন্ত্রটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। যন্ত্রটি আসলে সুন্দর। তাই ইভিএম নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।তিনি বলেন, স্মার্ট বা এ্যানড্রোয়েট ফোন দিয়ে যেমন সুফল পাওয়া যায় তেমনি কেউ কেউ এটি ব্যবহার করে কুফল বা বিপদগামী হচ্ছে। কিন্তু ইভিএম মেশিনে শুধুমাত্র সুফলই পাবেন। ইভিএম এর বাটন টিপলে ভোটারের মনোনীত ব্যক্তির মার্কা নিশ্চিত করা যায় এবং ভোটারে ভোট দেয়াটাও খুব সহজ হয়। নির্বাচন কমিশনের ৭০-৮০টি ইভিএম মেশিন আছে। এই মেশিন দিয়ে ৩০০ আসনে ভোট করা সম্ভব নয়। তাই আমরা চেষ্টা করছি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরো কিছু মেশিন কিনে ১৫০টি আসনে ইভিএমএ ভোট করা যায় কি না। পরে সম্ভব হলে বাংলাদেশে ৩০০ আসনেই ইভিএমএ ভোট হবে। কিন্তু সে সাপোর্ট পাওয়া কঠিন। কারণ ইভিএম মেশিনগুলো বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়।
শুক্রবার সকালে বগুড়া সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বগুড়া জেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিয়ম ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সভায় বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, এনএসআই এর উপ পরিচালক মামুনুর রশিদ, বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল মোমিন খান, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মো. মাহমুদ হাসান, বগুড়া র্যাব-১২ এর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, আনসার ভিডিপি জেলা কমান্ডেন্ট শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং অফিসার এসএম জাকির হোসেন, সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখওয়াত হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ