২ অক্টোবর, ২০২২ ২১:৫৩

মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ মামলার আসামির রহস্যজনক মৃত্যু

মাগুরা প্রতিনিধি

মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ মামলার আসামির রহস্যজনক মৃত্যু

মাগুরায় মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও মোমিন ভুইয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মোহাম্মদ আলীর (৪৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার কালিনগর গ্রামের আলীর ভাইরা বাড়িতে প্রথম স্ত্রীসহ বেড়াতে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তবে আলীর স্বজনরা এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মোহাম্মদ আলীর ভাই ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, তার ভাই মোহাম্মদ আলী শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এসময় খোঁজ নিতে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। শেষ রাতে মোহাম্মদ আলীর ছেলে লিমন জানায় তার বাবা স্ট্রোক করেছে। তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানিয়েছে হাসপাতালে আনার এক ঘণ্টা আগে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। তারা মনে করছে আলীকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করতে পারে।

তবে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে প্রথম স্ত্রী রিনা খাতুন জানান, আমার খালাতো বোনের বাড়িতে অবস্থান করাকালীন রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে অসুস্থ হলে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত আসামি (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যেহেতু পরিবার থেকে এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করছে, সে কারণে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় শহরতলীর দোয়াপাড় এলাকায় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাড়ে সাত মাসের গর্ভবতী গৃহবধূ নাজমা বেগম ও বৃদ্ধ আব্দুল মোমিন ভুইয়া। এ সময় তার গর্ভে থাকা শিশুটিও গুলিবিদ্ধ হয়। ওই রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার করে মা ও গর্ভে থাকা শিশুটির জীবন বাঁচান। অন্যদিকে ২৪ জুলাই মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আব্দুল মোমিন ভুইয়া রাতে মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত মোমিন ভুইয়ার ছেলে রুবেল ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় ১৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশি তদন্তে আরও তিনজনের নাম নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়। ওই বছর ৩০ নভেম্বর মোট ১৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে মামলাটি মাগুরার অতিরিক্ত দায়রা আদালতে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর