মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের ২২ দিনের অভিযান নিয়ে লক্ষ্মীপুরের জেলেদের নানা অভিযোগ রয়েছে। যথাসময়ে খাদ্য সহায়তা না পাওয়া, প্রকৃত জেলেরা কার্ডধারী হতে না পারা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এখানকার জেলেরা। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন ৪০ হাজার জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সফল অভিযান হলে এবার ২৭ হাজার মেট্টিকটন ইলিশ উৎপাদনে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
জানা যায়, মেঘনা নদীর ১শ কিলোমিটার এলাকা অর্থাৎ লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। তাই এ এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার সকল ধরণের মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত রাখা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভিযান বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, নদী ছেড়ে তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন জেলার রামগতি,কমলনগর, সদর ও রায়পুর উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার মৎস্যজীবি। মজু চৌধুরীর হাট ও বুঁড়ির ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে জেলেদের অনেকে জাল বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউবা ঘোরাঘুরি করে অলস সময় পার করছেন।
এসব জেলেরা কেউ বলছেন, খাদ্য সহায়তা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে অভিযানের আগে যদি সরকার সহায়তা করে তাহলে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতোনা। কেউ কেউ বলছেন বছরের পর বছর জেলে হয়েও সরকারি তালিকাভুক্ত হতে পারেননি তারা। তাদের অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের স্বজনপ্রীতিতে প্রকৃত জেলেরা কার্ডধারী হতে পারেননি। এতে করে সরকারি সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে তারা। কেউবা বলছেন সরকারের নিয়ম মেনে অনিয়মের সংসারে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ৪০ হাজার জেলের জন্য সরকারের খাদ্য সহায়তা এসেছে। শিগগিরই প্রতিজনকে ২৫ কেজি হারে চাল দেয়া হবে। এছাড়া তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জেলেদের তালিকা সংশোধনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলেরা নিয়ম মানছেন। আশা করা যাচ্ছে এবার ২৭ মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদন হবে জেলায়। যা আগে ছিল ২৫ মেট্টিক টন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল