বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ রবিবার। এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৬৪তম নৌকা বাইচ। বাইচে অংশগ্রহণ করবে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ থেকে আসা ৭টি সুসজ্জিত নৌকা। করোনার কারণে ২ বছর বন্ধ থাকার পর এবারের নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগনের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির সভাপতি অমল মল্লিক।
প্রতি বছর ল²ীপূঁজার দিন হারতা বাজার সংলগ্ন কঁচার শাখা নদীতে নৌকা বাইচ আয়োজন করে আসছে বাজার কমিটি। ওই এলাকায় প্রচুর সংখ্যক সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস। এই ধারাবাহিকতায় এবার হারতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৬৪ তম নৌকা বাইচ। এর আগে করোনার কারনে গত দুই বছর নৌকা বাইচ হয়নি হারতায়। এ কারনে নৌকা বাইচ ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে হারতা সহ আশপাশের বাসিন্দাদের মাঝে।
নৌকা বাইচ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অমল মল্লিক জানান, এই অঞ্চলে তেমন বিনোদনের জায়গা নেই। বছরের এই দিনে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচের অপেক্ষায় থাকেন স্থানীয় মানুষ। করোনার কারনে গত ২ বছর বাইচ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ কারনে এবারের বাইচ ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে জনমনে।
হারতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস জানান, এবার ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের ৭টি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় অংশ নেবে। বিকেল ৩টায় কঁচার শাখা নদীতে শুরু হবে বাইচ। হারতা ব্রীজের পূর্ব পাশ থেকে বাইচ শুরু হয়ে এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে শেষ হবে। এভাবে পরপর ৩ বারের প্রতিযোগীতায় শীর্ষস্থান অধিকারী দলগুলোর মধ্যে রেফ্রিজারেটর ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন উপহার দেয়া হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল বলেন, নৌকা বাইচ উপভোগ করতে নদীর দুই তীরে লাখো মানুষের সমাগম হয়। বাইচ ঘিরে হারতা বাজারে অনুষ্ঠিত হয় মেলার। বাইচকে কেন্দ্র করে হারতা পরিণত হয় মিলনমেলায়।
নৌকা বাইচ উৎসবমুখর করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন উজিরপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/এএম