চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গত দুসপ্তাহে থেকে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক নারী-পুরুষ ও শিশুরা আক্রান্ত হয়েছেন। লক্ষণ হিসেবে রোগীদের মধ্যে চোখ লাল হওয়া, ব্যথা, ফুলে যাওয়া ও পানি আসার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা পাঁচ থেকে দশ দিন স্থায়ী থাকছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত দুই সপ্তাহ থেকে হঠাৎই চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষই এই ছোঁয়াচে রোগে সংক্রমিত হচ্ছেন। শহর কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম সবখানেই এখন একই অবস্থা। প্রতিদিনই হাসপাতাল, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও গ্রাম্য চিকিৎসকদের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা ভিড় করছেন। পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হলে বাকি সদস্যরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ময়লা হওয়া, চোখে ব্যথা অনুভব ও খচখচ করা নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হলেও বড়দের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম এ মতিন বলেন, ছোঁয়াচে চোখের রোগ 'কনজাংটিভাইটিস' এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কয়েক বছর পরপর এ চোখ ওঠা রোগ দেখা দেয়। এই রোগ আগেও ছিল, তাই চোখ ওঠা রোগটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই শুধু প্রয়োজন সতর্কতা। এই রোগটি ভাইরাসজনিত হলেও ভয়ংকর কিছু নয়। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ প্রয়োগ এবং নিয়ম মেনে চললে ৭/১০ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবে রোগী।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এদিকে সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ বলেন, এই রোগ কমবেশি জেলায় ছড়িয়েছে। রোগটি এমনিই ভালো হয়ে যায়। তবে জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া এই রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ