রায় ঘোষণার ৩৩ দিন পর ভাঙ্গা পৌরসভার নওপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান (হাবু) (৩৮)। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন একটি হত্যা মামলায় ভাঙ্গার বাসিন্দা হাবুকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাবিবুর রহমান হাবু পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে ১৮ মার্চ খুন হয় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ভাজন্দী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আজিজুর রহমান (৩৫)। পুলিশ দিগনগর গ্রামের আইয়ুব আলী ফকিরের গম ক্ষেত থেকে আজিজুরের লাশ উদ্ধার করে। ১৯ মার্চ আজিজুরের বাবা বাদী হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান বাবু, আজিজুরের স্ত্রী রাবেয়া বেগম তাপসী, শ্বশুর আলী মিয়াকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
নিহত আজিজুর কুয়েত থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম তাপসী ভাঙ্গার হাবিবুর রহমানের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। এ ঘটনা পরিবার ও এলাকাবাসী জানলে রাবেয়াকে সঠিক পথে আসার পরামর্শ দেন। তাতেও রাবেয়া পরকীয়া থেকে সরে না আসায় আজিজুর রহমান কুয়েত থেকে দেশে চলে আসেন ২০০৭ সালের ৫ মার্চ। তার ১৩ দিন পর খুন হন আজিজুর।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান হাবুকে শুক্রবার বিকালে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই