ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে মাদক বেচাকেনা নিয়ে দুই ব্যক্তির বিরোধে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তৈয়ব আলী আকন্দ (৬৪) নামের এক মুদি দোকানদারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৭ টার দিকে। এ ব্যাপারে তৈয়ব আলী আকন্দের ছেলে আবু সাইদ আকন্দ বাদী হয়ে সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভাঙ্গা থানায় হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, মাসখানেক আগে মাধবপুর গ্রামের ভিসা কাজীকে (৩২) ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী। ভিসা কাজীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে ভিসা কাজী জামিনে জেল থেকে বের হয়। গত ৭/৮ দিন আগে ভিসাকে পিটায় রাজু মিয়া নামক গ্রামের আর এক ব্যক্তি। রাজুর বিরুদ্ধেও মাদক বেচা-কেনার অভিযোগ রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ভিসা কাজীর পক্ষে বেশ কিছু লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাজুর পক্ষের লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় ৪টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গ্রামের সড়কে তৈয়ব আলী আকন্দের মুদি দোকানেও হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় তৈয়ব আলী আকন্দ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তৈয়ব আলীকে মৃত ঘোষণা করেণ। এর পরে গ্রামবাসী ভিসা কাজীদের পক্ষের লোকজনের ৫/৬টি বাড়ি ভাংচুর করে।
তৈয়ব আলী আকন্দের ছেলে আবু সাইদ আকন্দ বলেন, আমার বাবা নিরীহ প্রকৃতির লোক। ভিসা কাজী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে রাজু সাথে তাদের দ্বন্দ্ব। রবিবার সন্ধ্যায় ভিসা কাজীর লোকজন আমাদের পাড়ায় হামলা চালায় ও আমার বাবার দোকান ভাংচুর, লুটপাট করে। বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, তৈয়ব আলী আকন্দকে মৃত অবস্থায় ভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, মাধবপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এক ব্যক্তি মারা গিয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তির ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা