বগুড়ায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো. আব্দুর বারী চাঁন মিয়া হত্যার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মো. রঞ্জন (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কলোনি চকফরিদ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রঞ্জন ওই এলাকার আব্দুর রশিদ প্রামানিকের ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার হওয়া রঞ্জন আইনজীবী চাঁন মিয়া হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। মামলার এজাহারে তার নাম না থাকলেও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনিই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এছাড়া গ্রেফতার রঞ্জনের বিরুদ্ধে চারটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা চলমান আছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
বগুড়া র্যাব-১২ ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) নজরুল ইসলাম রবিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আইনজীবী আব্দুল বারী চাঁন মিয়াকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুর রহিম, সাকিব ও শফিকুলসহ আরও বেশ কয়েকজন সরাসরি অংশ নেন। তারা চাঁন মিয়াকে ধারালো লোহার কুড়াল দিয়ে একাধিক আঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পরেই র্যাব আসামিদের ধরতে মাঠে নামে।
একপর্যায়ে আব্দুর রহিম ও সাকিবের মুঠোফোন নম্বর বিশ্লেষণ করে দেখা যায় চাঁন মিয়াকে হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন রঞ্জন। দীর্ঘদিন চাঁন মিয়ার সাথে তার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে তিনি তার চাচা শ্বশুর রহিম ও শ্যালক সাকিবকে এ হত্যাকাণ্ডে সংগঠিত করার নির্দেশ দেন। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আরও জানান, রঞ্জনকে চাঁন মিয়া হত্যায় গ্রেফতার দেখিয়ে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শহরের কলোনি চকফরিদ এলাকায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী আব্দুল বারী চাঁনের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ওইদিন তার স্ত্রী রুনা মাহামুদ বাদী হয়ে আব্দুর রহিম, শফিকুল ও সাকিবের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। চারদিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। আব্দুল বারী চাঁন ওই এলাকার চকফরিদের মৃত কবেজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বগুড়া জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই