পাবনা সদর উপজেলা বলরামপুরে কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল হোতারা পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বলরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী একটি কোম্পানীতে কাজ করেন। প্রতিদিন কাজ শেষে কারখানার আরেক কর্মীর সঙ্গে বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু ঘটনার দিন শুক্রবার ওই কর্মীকে আগেভাগেই ছুটি দেন কারখানার এক সুপারভাইজার শাহ আলম। তিনি আগেই চলে যাওয়ায় এ দিন রাত ৯টার দিকে একাই বাড়ি ফিরছিলেন ভুক্তভোগী নারী। এ সময় শাহ আলম তাকে বাড়ির পথে এগিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার সঙ্গে রওনা হন। কিছুদূর গিয়ে নির্জন স্থানে শাহ আলম ওই নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে ধাক্কা দিলে শাহ আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেন। তাকে একটু দূরে গিয়ে কারোর সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। এর মাত্র এক-দুই মিনিটের মধ্যেই সেখানে আরো সাত-আটজন যুবক এসে তাদের ঘিরে ধরেন।
যুবকরা ওই নারীকে জোরপূর্বক জঙ্গলের দিকে নিয়ে যান। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে খবর দিয়ে সেখানে হাজির করা হয় সেই সহকর্মীকে, যার সঙ্গে মেয়েটি নিয়মিত অফিস শেষে বাড়িতে যাতায়াত করতেন। পরে ওই সহকর্মী ও শাহ আলমকে আটকে রেখে গলায় ছুরি ধরে ভুক্তভোগী নারীকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের নাম-ঠিকানা ও কিছু তথ্য পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। খুব শিগগির তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ অন্যদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাদশা, আতিয়ার, রাজিব, মনির, আশরাফ, শেখ সাদী ও সাঈদ শেখ। তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ঘটনার পর থেকেই তারা এলাকা থেকে লাপাত্তা রয়েছে।
স্থানীয় দোগাছি ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা ইতোমধ্যেই তাদের চিহ্নিত করেছি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে অবহিত করেছি। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আর যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য এই ঘটনার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন