বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এস.এম জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর দাবি, জামাল হোসেন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। তবে তিনি প্রতিরোধ করায় সুযোগ নিতে পারেনি।
গত ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উজিরপুর বাজারের টার্মিনাল রোডে জামাল হোসেনের ভাড়াটিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নাম গোপন রাখার শর্তে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, ৯ নভেম্বর সকালে বাসায় একা রান্না করছিলেন তিনি। সাড়ে ১১টার দিকে এস.এম জামাল হোসেন (উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি) ওই ঘরে ঢুকে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তাকে (গৃহবধূ) পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। তিনি ডাক-চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে জামাল হোসেন তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ইজ্জত রক্ষায় তিনি তার সাথে ধস্তাধস্তি করে এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনা পরিবারের সদস্যদের অবহিত করেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানাভাবে ওই পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ নেতা জামাল হোসেন এবং তার সহযোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম জামাল হোসেনের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে প্রশ্ন শুনেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। পরে আর কল রিসিভ করেননি তিনি।
এ বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন উজিরপুর থানার ওসি মো. কামরুল হাসান। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
এর কয়েক বছর আগে পৌর সদরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক গৃহবধূর সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় জামাল হোসেনকে স্থানীয় জনগণ হাতেনাতে আটক করে। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন