লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯শে ডিসেম্বর। নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের চলছে জোর প্রচার-প্রচারণা। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে প্রচারণায় কাজ না করার কারণে ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা এবং মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। এতে নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের অভিযোগ নৌকা প্রতিকের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছেন।
শনিবার রাতে হাতীবান্ধার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হাতীবান্ধা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতীবান্ধা থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্তাধীন বলে তিনি জানান।
আহতরা হলেন, সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের হরিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে অনুকুল চন্দ্র রায় (৩৫), রবি চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী ফুলতি রানী (৫৫) ও ছেলে মহেশ চন্দ্র রায় (৩৬) এবং আব্দুল খালেকের ছেলে বাবুল মিয়িা (৩৭)।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. আরিফুল ইসলাম বলেন, তার বাবা মৃত খতিব উদ্দিন ছিলেন এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান পদটি শূন্য। তার বাবার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ইউনিয়নের ভোটাররা আনারস প্রতিকের জন্য স্বেচ্ছায় নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহন করছেন। কিন্তু নৌকা প্রতিকের কর্মী-সমর্থকরা নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। তার কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে এবং পুলিশ আাইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান।
তবে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরল ইসলাম বলেন, তার কোনো কর্মী ও সমর্থক এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। নির্বাচনে তার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার জন্য অন্য প্রার্থী অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল