সুন্দরবনে আবারো শুরু হয়েছে বনদস্যুদের তৎপরতা। এবার বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বেড়ীর খাল এবং অরমাল খাল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি বনদস্যু বহিনীর সদস্যরা মুক্তিপনের দাবিতে কাঁকড়া আহরণ করা ১০ জেলেকে অপহরণ করেছে। বনদস্যুরা এসময় জেলেদের কাছ থেকে প্রায় ৭ মণ কাকড়া, ২০টি মোবাইল ফোন ও দুটি জেলে নৌকা নিয়ে গেছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিপণের দাবিতে ১০ জেলেকে অপহরন ও ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও শনিবার রাতে অন্য জেলেরা বাড়ি ফিরে আসলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
বনদস্যুদের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিরে আসা জেলেরা জানান, পূর্ব সুন্দরনর বিভাগের চাঁদপাই, জিউধারা ও ধানসাগর স্টেশন থেকে পারমিট নিয়ে ১০টি নৌকায় করে তারা ১৫ ডিসেম্বর রাতে বেড়ীর খাল ও অরমাল খালে কাঁকড়া শিকার করছিলেন। এসময় নয়জনের একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি বনদস্যু বহিনীর দল আগ্নেআস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। বনদস্যুরা জেলেদের কাছে থাকা ২০টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও তাদের শিকার করা প্রায় ৭মন কাঁকড়াসহ দুইটি নৌকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা মুক্তিপনের দাবীতে প্রতিটি নৌকা থেকে একজন করে ১০ জন জেলেকে অপহরন করে নিয়ে যায় বনদস্যুরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা নিয়ে যোগাযোগ করে মুক্তিপন না দিলে অপহৃত জেলেদের হত্যা করা হবে বলেও বনদস্যুরা হুমকি দেয়। অপহৃত জেলেদের মধ্যে থেকে ৩ জনের নাম জানা গেছে। তারা হচ্ছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা গ্রামের আসাদুল হাওলাদার (৩৫), ডৌয়াতলা গ্রামের হানু (৪৫) ও বাগেরহাট সদরের ডেমা এলাকার সোহেল (৩৫)। এ ঘটনায় অপহৃত জেলেদের পরিবারের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লে. কমান্ডর মামুনুর রহমান জানান, সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যুদের তৎপরতার বিষয়ে জেলেদের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুন্দরবনে কোন বনদস্যু বাহিনীর তৎপরতা চালাতে দেবে না কোস্টগার্ড।
বিডি প্রতিদিন/এএম