টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রাপ্ত পণ্য দিয়ে সুবিধাভোগীদের মাসিক খাদ্য চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পূরণ হয়। মাসের বাকি সময়ে এই সকল পরিবারকে খাদ্য সংকটে থাকতে হয়। এছাড়াও এক পরিবারে একাধিক কার্ড বিতরণ, টিসিবি পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের দূরত্বের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া খরচ, প্যাকেট পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রির কারণে চাহিদামত খাদ্যপণ্য ক্রয় করতে না পারার কারণে সুবিধাভোগীদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়।
নোয়াখালীর বিআরডিবি মিলনায়তনে সোমবার সকালে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতিঃ প্রেক্ষিত খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বরাদ্দ’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে প্রকাশিত একটি সামাজিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক-প্রান ও একশানএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।
নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসরাত সাদমিন, কৃষি ব্যক্তিত্ব রেজাউল করিম সিদ্দিকী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সায়েদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদি হাসান, ড. আবদুল কাইযুম মাসুদ, ড. মুহাম্মদ মহিনুজ্জামান।
সংলাপে বক্তারা বলেন, ‘মানুষের খাদ্যের অধিকার মানবাধিকার, তাই নাগরিকের খাদ্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। করোনা মহামারীর কারণে দেশে নতুন দরিদ্র হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। বর্তমানে খাদ্যপণ্য মূল্য বৃদ্ধি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে আরো বেশি বিঘ্নিত করছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদকরা কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে আরো দারিদ্র্য অবস্থায় উপনীত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন