গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে দুইজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এসময় চোরের ছুরিকাঘাতে সোহেল নামে এক যুবক আহত হয়। আহতকে উদ্ধার করে রাতেই মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। রবিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ও কাঞ্চনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত হলেন,কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার রফিজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা(৩৫)।
গ্রেফতাকৃতরা হলো নাটোর জেলার সিঙ্গার থানার কদমা গ্রামের মোহম্মদ আলীর ছেলে বকুল মিয় (৩৬)। অপর জন কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম থানার ডাকবাংলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে লিটন (৩০)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চোরের ঘটনা ঘটে আসছে। গত দুদিন আগে উপজেলা কাঞ্চনপুর এলাকায় সোহেলের বাড়ি থেকে তিনটি গরু চোরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে সোহেলের বাবা রফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তারাই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাত দেড়টার দিকে শুনতে পায় নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মিজুর বাড়িতে গরু চোরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। সোহেল বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই মনিরকে সাথে নিয়ে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে কাঞ্চনপুর বড়চালা এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে এক যুবক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়।
পরে মোটরসাইকেল থামিয়ে ওই যুবকের তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করেন। সন্দেহ ওই যুবক নাম ঠিকানা দিতে তালবাহানা করলে মনির মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাহার কাছে যায়। এসময় সন্দেহ চোর দৌড়িয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে সোহেল তাকে ধরে ফেলে। চোরের কাছে থাকা চুরি দিয়ে সোহেলকে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে। পরে চোরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই নিশ্চিন্তুপুর থেকে একজনকে উদ্ধার করে। অপরজনকে সোমবার সকালে কাঞ্চনপুর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। গুরুত্বর আহত সোহেলকে উদ্ধার করে রাতেই মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গ্রেফতাকৃতদের সোমবার দুপুরে মামলা দিয়ে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠনো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) হাফিজ জানান, গরুচোর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ