দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সুদের টাকা দিতে দেরি করায় ঋণগ্রহীতার অনুপস্থিতিতে বাড়ি থেকে ঋণগ্রহীতার স্ত্রীকে বের করে দিয়ে তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য তালা ভেঙে ওই মেয়েকে উদ্ধার করেছে।
রবিবার বিকাল ৩টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঋণগ্রহীতা মোস্তা মিয়া ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
জানা যায়, কয়েকে মাস আগে একই গ্রামের আবুল কালামের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন মোস্তা মিয়া। ঋণের টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এজন্য তাকে বাড়তি ১০ হাজার টাকা সুদ দিতে হবে। শর্ত অনুযাযী গত সাতদিন আগে ঋণের ৩০ হাজার টাকা শোধ করে দেয়। বাকি ৩০ হাজার টাকা গত শনিবার দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু জরুরি কাজে ঢাকায় গেছে ঋণগ্রহীতা মোস্তা মিয়া। তাই দিতে পারেনি। এর মধ্যে আবুল কালাম ও তার স্ত্রী দুপুরে ঋণের বাকি ৩০ হাজার টাকা নিতে তার বাড়িতে যান। টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহীতার স্ত্রী আফরোজা বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ঋণগ্রহীতার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে উম্মে কুলসুমকে ঘরের আটকে রেখে দরজায় তালা দেন।
এ বিষয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে মেয়েকে উদ্ধার করেছি। থানায় তাদের অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ওই মেয়ের বাবা থানায় মুঠোফোনে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওযা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই