গাজীপুরের বাস চাপায় আহত শ্রমিককে কারখানার পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। পরে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, জয়দেবপুর থানা, হাইওয়ে ও শিল্প পুলিশ এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহত শ্রমিকের চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে যায়। এর আগে শ্রমিকরা দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক ও শ্রমিকরা সাংবাদিকদের জানান, বুধবার দুপুরে কারখানায় শ্রমিকদের খাবারের বিরতি হয়। দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় স্থানীয় পোশাক কারখানার সামনে রাস্তা পারাপারের সময় একটি গাড়ির ধাক্কায় একই কারখানার শ্রমিক জুয়েল আহত হন। আহত শ্রমিক জুয়েল ওই কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করেন। জুয়েল মারা গেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে তার সহকর্মীরা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ সৃষ্টি করেন। তারা বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এসময় মহাসড়কের দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে গাজীপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী এবং পুলিশসহ কারখানার কর্মকর্তারা মিলে আহত শ্রমিকের চিকিৎসা ব্যয় বহন করাসহ সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়। আহত জুয়েল শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নাওজোর হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মহাসড়ক অবরোধের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আশ্বাসে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ