হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাধবপাশা গ্রামের আব্দুল হাসিম মিয়া ও একই গ্রামের লেবু হাজীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পুর্ব বিরোধ চলে আসছিল। গত রবিবার রাতে আব্দুল হাসিম মিয়ার স্বজন শাজাহান মিয়ার কিশোর ছেলের সাথে লেবু হাজী মিয়ার এক স্বজনের কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে ঝামেলা হয়। পরে রাতেই স্থানীয়রা বিষয়টি দু’পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়ানোর অনুরোধ করে এবং তাদেরকে শান্ত করে। সোমবার সকালে বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সোহাগ মিয়া, মুন আক্তার, রিনা আক্তার, আসমিনা আক্তার, শিহাদ মিয়া, মমিনুল ইসলাম, জুম্মত আলী, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, ইজাজুল ইসলাম, ওয়েছ মিয়া, সালমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, বাহার উদ্দিন, জুয়েল মিয়া, জহিরুল ইসলামকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যদের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) মাসুক আলী জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে পুর্ব থেকেই বিরোধ ছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আবিদ মিয়া ও মোবাশ্বির মিয়া নামে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষের সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম
