শীত আর পিঠা গ্রামীণ বাঙলার ঐতিহ্য। গ্রামীণ জনপদে শীত এলেই শুরু হয় পিঠার ধুম। বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শেরপুর পৌর লেডিস ক্লাব ও উজ্জয়নী মহিলা সংস্থার যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল দিনব্যাপী পিঠা উৎসব।
বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে পিঠা উৎসব। পৌরসভা কার্যালয় মাঠে ফিতা কেটে পিঠা উৎসরের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম। আয়োজকদের উপদেষ্টা ও পিঠা উৎসবের সভাপতি পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, পুলিশ সুপার পত্নী ও পুনাক সভাপতি সানজিদা হক, লেডিস ক্লাবের সভাপতি শাহীনা আক্তার পারভীন, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমানারা লিপিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পৌরসভা মিলনায়তনে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসবে নানা রঙ ও নানা নামের বাহারি পিঠার দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে পিঠার স্টলগুলো। বিভিন্ন ফুলের নামে বিশেষ করে কেয়া, মাধবীলতা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, ক্যামেলীয়া, হাসনাহেনা, অপরাজিতাসহ নানান নামের পিঠা মন কাঁড়ে আগতদের। উৎসবে ৩৫ টি স্টলে দুধ চিতই, সাগুর লস্করা, নয়নতারা, ডালের বরফি, হেয়ালি পিঠা, পাটিসাপটা, নারকেল পুলি, দুধ পুলি, তালের পিঠা, মাছ পিঠা, মালপোয়া, ঝালপোয়া, সুজির পিঠা, মাংসের সমুচা, ডিম পিঠা, মুগ পাকান, পুডিং, পায়েস, পানতোয়াসহ প্রায় ২ শত রকমের পিঠা বিক্রি ও প্রদর্শিত হয়। পিঠা উৎসবে মহিলা ও শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
সন্ধ্যার পর পিঠা উৎসবে মানুষের ঢল নামে। এসময় শহরের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ বা আবার বন্ধুদের নিয়ে দলে দলে ভির করে পিঠা উৎসবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ