গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে ১৮ জুলাই চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের খুনি বাহিনীর গুলিতে আহত হয় হৃদয় তরুয়া। পরে ৫ দিন পর ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই বিপ্লবী শিক্ষার্থী।
তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, "হৃদয় ছিল চেতনার প্রতিচ্ছবি। আন্দোলন চলা অবস্থায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যে ভিডিও পাঠায়, তাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তার আকুতি আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করে। ভিডিওটি দেখার পর বুঝি, হৃদয় শুধু নিজের জন্য নয়, সমগ্র ছাত্রসমাজের কথা ভেবেই লড়েছে। তাই আমাদের জুলাই বিপ্লবের সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শহীদ তরুয়া চবির ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে চবি পটুয়াখালী স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দীন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন ও চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা চাইলেও শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কিছু করতে পারি না। হৃদয়ের মত শিক্ষার্থীর এই অবস্থা আমাদের ব্যথিত করে। সে হলে ডাল দিয়ে ভাত খেত, এই বাস্তবতা আমাকে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে দাঁড়ায়, এমনকি সরকারও যদি বাধা দেয়, তাহলে আমরা আরেকটি বিপ্লবের ডাক দিব। আমি নিজে সেই বিপ্লব ধারণ করবো। প্রয়োজনে আবার বিপ্লব হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ