জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন ঘোষণা নিয়ে নিজেদের সংবাদ সম্মেলনেই হট্টগোল আর উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা ক্ষোভে সংবাদ সম্মেলনস্থলেই মেঝেতে বসে পড়েন। গতকাল বিকালে রাজধানীতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। এসময় গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মাহফুজুর রহমান খান। ঘোষণায় দেখা যায়, গাজীপুর-২ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে আবদুর রহমানকে। অথচ ওই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মাহফুজুর রহমান খান। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে সরাসরি আপত্তি জানান। তিনি বলেন, ‘এই পার্টির সর্ব প্রথম গ্রেপ্তার আমি। আমার সঙ্গে কেন অবিচার করা হয়েছে? বৈষম্য হয়েছে। অবৈধ ঘোষণা মানি না, মানব না।’
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তাকে থামাতে গেলে তাকে উদ্দেশ করে মাহফুজুল রহমান বলেন, ‘বৈষম্য করলেন। পরিকল্পিতভাবে আমাকে বাদ দিয়েছেন। কেন প্রার্থী ঘোষণা করছেন? মানুষের ক্যারিয়ার ধ্বংস করছেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার নষ্ট করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ শীর্ষ নেতারা। এ সময় রাশেদ খান বলেন, ‘গাজীপুর-২ আসনে দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আমরা যাচাইবাছাই করে একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি। তবে মাহফুজুর রহমান খানকে অন্য একটি আসনে বিবেচনা করছি।’